দুধে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
দুধের সাথে হলুদ মিসিয়ে খেলে অনেক উপকারিতা আছে । যেমন এটি শরীসরিরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বারায়। আবার অনেক রকম ব্যথা যেমন বাতের ব্যথা ,জয়েন্ট বা হাতুর ব্যথা,পেশির ব্যথা ইত্যাদি ।
মুলত হলুদ এর ভিতর কারকিউমিন নামক একটি উপাদান আছে যার জন্য এর প্রানবস্ত রঙ এবং শক্তিশালী সাস্তকর উপকারিতা রয়েছে। আর এটি যদি দুধের সাথে মিসিয়ে খাওয়া যায় তাহলে তো এর উপকারিতা আরো অনেক গুন বেড়ে যায় । যেটাকে আমরা পাওরহাউস হিসাবেও গননা করতে পারি।
দুধে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতায় যা জানতে পারবেন এর সুচি পত্র ঃ
- দুধে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার কিছু উপকারিতা
- ত্বকের জন্য কাচা হলুদের ব্যবহার ও উপকারিতা
- হলুদের অন্যআন্য আরো উপকারিতা
- ক্যান্সারে জন্য হলুদ এর উপকারিতা
- অতিরিক্ত হলুদ এর খাওয়ার অপকারিতা ও সাবধানতা
- আমার কিছু মতামত
দুধে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার কিছু উপকারিতা
প্রায় ৩০০০ বছর আগে থেকেই মানুষ হলুদ ব্যবহার করে আছে। সাধারণত আমরা
আমাদের বারিতে হলুদ রান্নার জন্য ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এর
উপকারিতা সম্পরকে আপনেরা এতটা জানিনা। এই হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন
এর মত শক্তিশালী উপাদান যা আমাদের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বারায় এবং
এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটারি উপাদানের ফলে শরীরের ব্যথা জনিত সকল ধরনে
রগের প্রতিরোধ করে।
দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে এর কার্যকর ক্ষমতা আরো বেড়ে যায় । এটি নিয়মিত
খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় । এটি হজমের সমস্যার সমাধান ও করতে
পারে কিছুটা। যদি আপনার লিভার এ চর্বি জুমে থাকে তাহলে দুধে হলুদ
মিশিয়ে খেলে আপনার লিভার এর কেটে কুমে যাবে ।কারকিউমিনের ভিতরে
শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা মৌলিক অক্সিডেটিভ
স্ট্রেস বারায় । এটি কমেগেলে অনেক রোগ সৃষ্টি হয় যেমন ঘুমের সমসা,
অতিরিক্ত ক্লান্তি , রক্ত সঞ্চচলনের সমস্যা ইত্যাদি হয়ে থাকে।তাই এই
সমস্যার জন্য দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে হবে।
ত্বকের জন্য কাচা হলুদের ব্যবহার ও উপকারিতা
যদি হলুদ ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে অনেক ভালো রেজাল্ট পাবেন । কাচা হলুদ
তঁকে নিলে ত্বক উজ্জ্বল হবে । এর সাথে একটু মধু মিসালে আরো ভাল হবে ।
হলুদের ভিতর থাকে কারকিউমিন এর ফলে মরা টিস্যু বা কোষ পুনরায়
জিবত হয়। এবং কালো দাগ দূর করে ।
হলুদের অন্যআন্য আরো উপকারিতা
৪০ বছর পরবর্তীদের জন্য হলুদ খুবই উপকারি কারণ ৪০ বছর পর মানুষের শরীরের
ভিতরে যে ফ্রী রেডিকেল এর মাত্রা বাড়তে থাকে । এই ফ্রী রেডিকেল হলো
আপনার শরীরের উৎপত্তি এক ধরনের মলিকিউল যা আপনাদের শরীরের কোষ বা
টিসু গুলিকে নষ্ট করে থাকে । এই ফ্রী রেডিকেল আপনার
শরীরে হওয়ার প্রধান কারন হলো, ধুম্পান,বায়ু দূষণ, বিভিন্ন প্রকার সবজিতে
যে সব কীটনাশজায় ঔষুধ ব্যবহার করা হয়
এবং সেগুল শাকসবজি , ফলমূল মধ্যে দিয়ে আমাদের সরিরের ভিতরে প্রবেস করে।
আবার মাছ চাষের সময় বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার
করা হয় এছাড়া আপনারা বাইরের ভজা পোরা তেল জুক্ত জিনিস খেয়ে থাকেন তার
জন্য আপনার শরীরে কিন্তু এই ফ্রী রেডিকেলর মাত্রা বারতে থাকে । আর
এই ফ্রী রেডিকেলর মাত্রা যখন বারতে থাকে তখন টনিক ডিজিজ এর সম্বভনা
বেড়ে যায়। টনিক ডিজিজ বলতে , আপনার বিভিন্ন প্রকার রোগ হতে পারে
।যেমন হার্ড অ্যাটাক , ক্যান্সার ,ডায়বেডিস, ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে ।
আর হলুদের ভিতরে থাকে কারকিউমিনের শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার
শরীরের ভিতরে মৌলিক অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বারায়। এর ফলে এই সমস্ত টনিক
রোগ থেকে বাচতে পারবেন। তাই দুধে হলুদ মিশিয়ে খান নিয়মিত ।
আরো পরুন ঃ ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার
ক্যান্সারে জন্য হলুদ এর উপকারিতা
ক্যান্সারের জন্য হলুদের উপকারিতা অপরিসীম । মানব দেহে যেসমস্ত সেল
গুলি আঘাত প্রপ্ত হয় । সেই সেল গুলকে পুনর উদ্ধার করতে এক
প্রদাহ অনেক বড় ভুমিকা রাখে । বিভিন্ন ধরনের কাটা ছিরা
বা বাথ্য তারাতারি সারাতে এই প্রদাহ কাজ করে । যদি এই প্রদাহ দীর্ঘ দিন
ধরে থাকে সেটা যত ছোটি ই হোক না কেন এর জন্য হার্ড এর সমস্যা এবং সব
ধরণের ক্যান্সার হয়ে থাকে ।
শরীরে এই প্রদাহ দীর্ঘ দিন ধরে থাকার এক মাত্র দায়াই হলো এক ধরনের
অনুকোষ যার নাম হলো ঃ NF -KB{Nuclear factor kappa beta} এই
অনুসেল গুলিই মানব দেহে প্রদাহকে দীর্ঘ ইস্থাই করে । আর হলুদের ভিতরে যে
অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটারি থাকে সেটা মানবদেহে NF -KB কে ধ্বংস করতে
সখম। মানবদেহে যেকোনো অস্বাভাবিক দিক গুলই হলো ক্যান্সার । গবেষণায়
দেখাগেছে যে হলুদের মধ্যে যে কারকিউমিন আছে সেতা মানবদেহে যেভাবে
অস্বাভাবিক দিক কে বাধা তৈরি করে।
এ ছারা ক্যান্সার সেল কে শরীরে ছরিয়ে পরার থেকে রক্ষ্যা করে। বিশেষ করে
গ্যসটো ইনটাসটিয়াল ক্যান্সার, লাঙ্ক ক্যান্সার, ব্রেস্ত ক্যান্সার, নিউরো
ক্যান্সার, অভারিয়ান ক্যান্সার, লিভ ব্লান্দের ক্যান্সার, ব্লাড
ক্যান্সার । এই সমস্ত ক্যান্সার কে বৃদ্ধি থেকে বাধা তৈরি করে এই
কারকিউমিন । এর মানে এই নয় যে সুধু হলুদ খেলেই ক্যান্সার সেরে যাবে
। উচ্চ চিকিৎসার সাথে সাথে যদি হলুদ খান তাহলে আপনার ক্যান্সার ট্রিটমেনট
এর জার্নি আরো সহয হবে ।
অতিরিক্ত হলুদ এর খাওয়ার অপকারিতা ও সাবধানতা
হলুদ বেসি না খাওয়াই ভালো ডাক্তার এর পরামর্ষ নিয়ে খেতে হয়। বিশেষে করে
গর্ভবতী মহিলাদের হলুদ থেকে দূরে থাকাই ভাল। তারপরে ও ভালো ডাক্তার এর
পরামর্ষ নিন। ছোট বাচ্চা দের দুধে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ালে ভাল হয়।
কাচা হলুদ খেলে টেস্টোস্টেরন হরমোন কমিয়ে দেয় এবং ধীরে ধীরে
সুক্রাণূকে অচল করে দেয় । জারা অল্প দিনে বাচ্চা নিবেন তাদের হলুদ থেকে
দূরে থাকাই ভালো ।
যারা অতি তারাতারি অপারেসন হবেন তাদের হলুদ না খাওয়াই উত্তম কারন হলুদ
রক্তকে স্বাভাবিক ভাবে জমাট রাখে না যার ফলে অতিরিক্ত রক্তপাত হতে পারে ।
একই ভাবে যারা রক্ত পাতের ঔষূধ খান তারা কখুনই হলুদ খাবেন না।
হলুদ খেলে হজম শক্তি কুমে যায় । যেহেতু তার লিভার জনিত সমস্যা তাই হলুদ থেকে দূরে থাকাই উত্তম। হলুদ খেলে লিভারের চর্বি কেটে যায়।
হলুদ খেলে কিদনিতে পাহথর হয় । তাই অতিতে যাদের পরিবারে কারো
কিদনিতে পাহথর থেকে থাকে তাহলে হলুদ খাওয়া যাবে না । কারণ তাদের ও হলুদ
খেলে কিদনিতে পাহথর হয়ার সুজিগ আছে ।
আমার কিছু মতামত
দুধে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পরকে আমার
বাক্তিগত ধারোনা থেকে বলতে পারি যে দুধে হলুদ মিশিয়ে খাওয়া অনেক উপকারি আমি প্রায় প্রতি দিনই এটি
খাই । আপনি যদি খেতে চান তাহলে ডাক্তার এর পরামর্ষ নিয়ে খান।
আর দুধে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পরকে আমার কাছ থেকে
যেই ধারনা টা নিলেন সেটা কেমন লাগলো অবশই কমেন্ট করে জানাবের। আর কোনো
রকম ভুল হলে জানাবেন যোগাযোগ নাম্বার এ ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সুস্থ
থাকবেন আমার জন্য দুয়া করবেন ।

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url