খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

   

আমাদের শরীরের অনেক সমস্যার জন্য রসুন খুব উপকারি । তবে সবার সরিরের জন্য ভালো ফল নিয়ে আসবে তা কিন্তু আসা করা যায় না । রসুনের কিছু কিছু গুনের জন্য আপনার শারীরিক সমস্যা বেড়ে যেতে পারে । রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা উভয় দিক রয়েছে ।খালি পেটে রসুন খেলে আমন কিছু উপকার হয় যেটা অন্য খাবারের সাথে রান্না করা অবস্থায় হয় না ।



রসুন শুধু বিভিন্ন ধরনের রোগ দুরই করে না। পাশাপাশি অন্য রোগের বিরুধে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং রসুনে এক ধরনের ভেষজ , যা শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেনট খাদ্য হিসেবে পুরো বিশ্বে পরিচিত আছে। অনেক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, এটি অনেক বড় বড় কঠিন রোগ নিরাময় করার ক্ষমতা রয়েছে। এর পাশাপাশি এটি কে আয়ুর্বেদিক থেকে ঘরোয়া চিকিৎসা  সব ক্ষেত্রেই উপকারি বলে মনে করা হয়।

খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এর সূচি পত্র ঃ

  কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা 

কাঁচা রসুনে থাকে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া , অ্যান্টিফাঙ্গাল যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াইয়। তাই খালি পেটে রসুন খাওয়া অনেক উপকারি বলে মনে করা হয়। প্রতিদিন সকাল বেলা খালি পেটে ২/৩ কোয়া রসুন খেলে রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বেড়ে যায় যা শরীরে অন্যআন্য রোগ তৈরি করতে দেয় না। আবার পুরুষের যৌনক্ষমতা বৃদ্বির জন্য খালি পেটে রসুন খাওয়া অনেক উপকারি বলে মনে করা হয় ।পুরুষের নানান কারনে  যৌনক্ষমতা অনেক কুমে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকাল বেলা খালি পেটে ২/৩ কোয়া রসুন খেলে ধীরে ধীরে পুরুষের যৌনক্ষমতা বৃদ্বি পায়। 

যাদের পরিবারে অতিতে হাডের কোনো রকম সমস্যা যেমন , হার্ড বলক জনিত সমস্যা ,হামু দিয়ে কাজ করতে পারে না বুকে ব্যাথা বুকে জালাপুরা থাকে তাদের জন্য রসুন একধরনের মহাঔষুধ , রসুনে থাকে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া , অ্যান্টিফাঙ্গাল যা রক্তে সঞ্চালন ক্ষমতা বেড়ে যায়। এই সঞ্চালন ক্ষমতা বারার কারনে হার্ড এটাক এর ঝুকি থাকে না। শরীরে এলডিএল বারার কারনে রক্ত চাপ বেরে যায়।  সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকাল বেলা খালি পেটে ২/৩ কোয়া রসুন খেলে রক্ত চাপ কুমে যায়।

ফুসফুস সংক্রামন,কোষের জন্য রসুন খাওয়ার উপকারিতা 

ফুসফুসে অনেক কারণে সংক্রমন হতে পারে। বিশেষ করে ঠাণ্ডা ও অ্যালার্জি জনিত কারণে ফুসফুসে  সংক্রমন হতে পারে। এর থেকে বাচার উপায় হলো। রসুনের রস বের করে সেই রস পানকরা। কোষের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। রসুনে থাকা উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়ার অ্যান্টি-অক্সিদেনট ও এজিং যা ব্রেনে থাকা আলজেইমারস ও ডিমেন্সিয়ার নামক রোগের কার্যকর ক্ষমতা শেষ করে এর রক্ষ্যা করে ।

একটি নির্দিষ্ট সময়ে বয়সের বৃদ্বির কারনে  মানুষের হাঁড়ে শক্তি থাকে না। যদি প্রতিদিন ২ গ্রাম করে নিয়মিত রসুন খান তাহলে মানুষের শরীরে ইস্টোজেনের মাত্রা ভারসম্য থাকে যার ফলে হাঁড়ে শক্তি ফিরে পাবে। ত্বকে ও ব্রনের যদি কোনো প্রকার দাগ থাকে তাহলে  সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকাল বেলা খালি পেটে ২/৩ কোয়া রসুন খেলে যত প্রকার দাগ বা বারধ্যকের ছাপ সব দূর হয়ে যাবে।

শিশুদের জন্য রসুনের  রসুন খাওয়া উপকারিতা

ছোট বাচ্চা দের মাজে মাজেই অনেক ঠাণ্ডা লেগে থাকে। বুকে কফ জুমে ও কাঁসি সর্দি বারে নিশ্বাসে নিতে সমসা হয়। এর একটি ঔষুধ আছে ,এর ঔষুধ হলো সরিষার তেল এর সাথে রসুন মিশিয়ে আগুনে ভেজে নিতে হবে , এর পর জাদের কাঁসি আছে তাদের গলায় সেই রসুন দিয়া গরম তেল ডোলে নিতে হবে। আর যদি সর্দি থাকে তাহলে নাকে ওই তেল ডলে দিতে হবে। যদি গলা দাবা থাকে তাহলে ২/৪ কুয়া রসুন খেতে পারলে খাওয়া বেন । তাতে দেখবেন দুকানের অনেক ঔষুধ এরচেয়ে তারারি এ সব রোগ কুমে যাবে।
 
এছাড়া রসুনের ভিতরে এলিসিন নামন এক ধরনের উপাদান যা ক্যান্সার সহ সব ধরনের রোগের জন্য উপকারি। যার কারণে রসুন কে সুপার ফুড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আবার রসুনের আচার ও অনেক ভালো খেতে , বাচ্চা দের রসুনের আচার রসুনের বাটা বেসি বেসি খাওয়াবেন এতে অনেক ভিটামিন থাকে। যা বাচ্চা দের শরীরের জন্য অন্বক উপকারি।

খালি পেটে রসুন খাওয়ার অপকারিতা   

খালি পেটে রসুন খাওয়া শরীরের জন্য উপকারি ।কিন্তু কিছু কিছু খেতে সব সময় রসুন খাওয়া শরীরের জন্য উপকারি শরীরে তা কিন্তু নয় । রসুনের কিছু অপকারিতা ও রয়েছে যার কারনে শরীরে অন্যআন্য রোগ ও বেড়ে জেতে পারে। গবেষণায় জানাগেছে যে অতিরিক্ত রসুন খেলে লিভারে বিষক্রিয়া হতে পারে এর কারণ হলো রসুনে থাকা অ্যালিছিন রাসায়নিক বিক্রিয়া করে লিভারে বিষক্রিয়া তৈরি করে। মুলিত রসুনে সালফার  থাকার কারণে কাঁচা রসুন খেলে মুখ দিয়ে অনেক গন্ধ হয় । 

রসুনে রয়েছে সালফার যা খালি পেটে খাওয়ার কারণে ডাইরিয়াও হতে পারে। তাই খালি পেতে রসুন খেতে সাবধান থাকুন । যারা অল্প দিনের মধ্যে অপারেসন হবেন তারা রসুন কম খান কারণ রসুন রক্তের ঘনত্ব কমায় রক্তকে পাতলা করে দেয় যার কারনে রক্ত পাত হওয়ার সম্ভভনা থেকে । গর্ভাবস্থায় বেসি রসুন খেলে প্রসব বেদনা বেরে রক্ত ক্ষরণ হতে পারে । এ ছাড়া যারা বাচ্চা দের বুকের দুধ খাওয়ান তারা রসুন খাবেন না। রসুন খাওয়ার ফলে দুধের সাধ বদলে যায়। অধিক পরিমানে রুসুন খাওয়ার ফলে হাইফিমা হওয়ার সম্বভনা থাকে। ফলাফল দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারেন।

যাদের গ্যাসের সমস্যা আছে তাদের জন্য রসুন না খাওয়াই ভালো হবে ।যাদের গ্যাসের সমস্যা আছে সে যদি খালি পেটে রসুন খায় তাহলে তার অবস্থা আর খারাপ হবে। সুতরাং রসুন থেকে দূরে থাকেন। যাদের গ্যাসের সমস্যা আছে।

আমার মতামত

আমি নিজেও খালি পেটে রসুন প্রতিদিন খাই আল্লাহ্‌ দিলে এর ফলাফল অনেক ভালো ছিল। আপনি চাইলে খেয়ে এর ফলাফল কেমন দেখতে পারেন তবে । যদি আপনার কোনো রকম শারীরিক সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ডাক্তার এর পরামর্শ নিয়ে খেলে ভাল হবে।খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এর ব্যাপারটা আপনাদের কাছে কেমন লাগলো জানাবেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url